• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

×

উন্নয়নের বিড়ম্বনায় কেসিসি’র ২৮ নম্বরের ওয়ার্ডবাসী

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২০ পড়েছেন

শেখ শাহরিয়ার,বিশেষ প্রতিবেদকঃ

সকালে বাসা বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ওই একই রাস্তা দিয়ে ফিরতে পারবেন কিনা জানেন না খুলনার ১৫ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।যাতায়াতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা না করে যখন তখন যে কোন রাস্তা খোঁড়া-খুঁড়ি করার ফলে চলা-চলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে রাস্তা।গত তিন বছর ধরে এভাবেই খোঁড়া-খুঁড়ির ফলে জনজীবন মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। খুলনা ওয়াসা কর্তৃক মাটির নিচে স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপনের জন্য এই দুর্ভোগের উৎপত্তি।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে খুলনা ওয়াসা কর্তৃক সুয়ারেজ   লাইন স্থাপনার কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডবাসীরা সবচেয়ে দুর্ভোগ এর মধ্যে পড়েছে।এই ওয়ার্ডের টুটপাড়া মেইন রোড ও সার্কুলার রোডে গত দেড় বছর ধরে  চলছে এই  খোঁড়া-খুঁড়ি।

খুলনার ঐতিহ্যবাহী টুটপাড়া জোড়াকল বাজার ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় টুটপাড়া মেইন রোডে অবস্থিত।

সরজমিনে এলাকা  পরিদর্শনে গেলে, টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুদি দোকানদার আবু বক্কর এর সাথে কথা হয়, তিনি বলেন আমরা জোড়াকলের ব্যবসায়ীরা খুব অসুবিধার ভিতর আছি, করোনা কালীন সময়ে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর এই ওয়াসার লাইন খোঁড়া-খুঁড়ির ফলে গত দেড়  বছর ধরে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম।গাড়ি- ঘোড়া তো দূরের কথা জোড়াকল বাজারে সাধারণ মানুষের হাঁটা চলার অবস্থাও নাই  । বাজার সমিতির পক্ষ থেকে ওয়াসার কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারদের সাথে একাধিকবার কথা বলে জানত চাওয়া হয়েছে, কবে এই খোঁড়াখোরের কাজ সমাপ্ত হবে? তারা আমাদের নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারে নাই। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমাদের ব্যবসা করে টিকে থাকাই দায়।মুরগী ব্যবসায়ী মাসুদের সাথে আলাপ করেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়।

টুটপাড়া সার্কুলার  রোডে একজন ফটোকপি ও স্টেশনারি  ব্যবসায়ী কাজল সাহেব তার সাথে কথা হয়।তিনি জানান, গত দেড় বছর ধরে আমাদের রাস্তা ব্যাপক খোঁড়া-খুঁড়ির ফলে  চলাচলের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য করা খুব দুষ্কর হয়ে পড়েছে।কথা হয় টুটপাড়া খালপাড় নিবাসী মোঃ আজিজ সাহেবের সাথে তিনি একটি বাড়ির মালিক তিনি বলেন ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত ও ওয়াসার স্যুয়ারেজ এর পাইপলাইন স্থাপনের কারনে ড্রেনগুলি বন্ধ করে রাখা ফলে বাড়ির সামনে সর্বদা হাঁটু পানি জমে থাকছে, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে,ভাড়াটিয়ারা বাসা ভাড়া নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ফলে আমার বাড়িতে চারটা ভাড়াটিয়া ঘরের মধ্যে তিনটি খালি পড়ে আছে, ভাড়াটিয়া পাচ্ছি না আর এ কারণে আর্থিকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি দেখার কেউ নেই। বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের খাদেম মোঃ হাসান জানান, শুকনার সময় প্রচন্ড ধুলা আর এই বৃষ্টির সময় ভয়াবহ কাঁদার কারনে মুসল্লিদের মসজিদে আসা-যাওয়া করতে খুবই কষ্ট হয়। এছাড়া এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে গেছে,পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ খুব ভোগান্তিতে আছে।

এলাকায় ঘুরে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ও ওয়াসার স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপনের জন্য খোঁড়া-খুঁড়ির ফলে উক্ত এলাকায় যানবাহন চলাচল এক প্রকার বন্ধই আছে এমনকি সাধারণ মানুষও পায়ে হেঁটে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ।ওয়াসার তৈরি করা ম্যানহলের জন্য বড় বড় গর্তের ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার ও চলাচল করছেন। এ বিষয়ে ওয়াসার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে, ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কিছু না জানালো তারা বলেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজের গতি ধীর হয়ে গেছে আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করছি জনদূর্ভোগ কমিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের কাজ শেষ করতে।

এখন দেখার বিষয় জনদূর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে রেখে ওয়াসা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে তার কাজ শেষ করতে পারে কিনা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA